এম. মিজানুর রহমান
লামা বান্দরবান>
বান্দরবান লামায় জামাই-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে উপস্থিত হয়।
সোমবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১০টায় লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের গাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- শ্বশুর আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫৫), আরিফুল ইসলাম (৩০), হোসনে আরা (২২) ও জামাই শেখ মূসা (২৬)। আহতরা সকলেই রূপসীপাড়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড গাজীপাড়ার বাসিন্দা।
জানা যায়, স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে শ্বশুরবাড়ির তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রবিন। জামাই শেখ মূসার অবস্থা তেমন খারাপ না হওয়ায় তাকে লামা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত হোসনে আরা বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে আমার ছোট বোন মাসুরা বেগমের স্বামী শেখ মূসা আমাদের বাড়িতে জায়গার কাগজের বাহানা দিয়ে এসে ঝগড়া করে। আমার বাবা স্থানীয় মেম্বারদের বিষয়টি জানাতে ফোন করতে চাইলে মূসা বাবাকে মারধর করে। তার পরপরই মূসার বাবা শেখ মহসিন আসে। তার বাবা আসার পর মূসা সবাইকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। ছুরি মূসা নাকি তার বাবা এনেছে তা আমরা অন্ধকারে দেখিনি। তবে আমার বাবা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও স্বামী আরিফুল ইসলামকে মূসা ছুরি দিয়ে জখম করে।
‘এ ঘটনার তিনদিন আগে আমার ছোট বোন মাসুরা ও আমার মাকে মূসা লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। চিকিৎসা শেষে আজকে (সোমবার) আমার মা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসে।’
জামাই শেখ মূসা জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন জায়গার দলিল, মানিব্যাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড রেখে দেয়ার কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মিজানুর রহমান বলেন, শেখ মূসা আমাদের জিম্মায় লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-এএ