আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তি দাবিতে ডাকা মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও এক উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) চড় মারার অভিযোগে বরগুনার বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস আলী তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন। একই সঙ্গে ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত শনিবার দুপুর ১২টায় সিফাতের নিজ গ্রাম বরগুনার বামনায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করে সিফাতের সহপাঠী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, বামনার কলেজ রোড সড়কে শান্তিপূর্ণভাবে চলা মানববন্ধনে হঠাৎ পুলিশের একটি টিম এসে ব্যানার-ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়। এরপরই বামনা থানার ওসি ইলিয়াস মানববন্ধনস্থলে এসেই অংশগ্রহণকারীদের গালমন্দ শুরু করেন এবং লাঠিচার্জের নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশের লাঠিচার্জে মুহূর্তেই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়। লাঠিচার্জ করেন ওসি নিজেও। এতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ১০ শিক্ষার্থী আহত হন।
এ সময় মানববন্ধনস্থলে দায়িত্ব পালনরত এক এএসআইকে চড় মারতে দেখা যায় ওসিকে। পরে এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা ও সিফাত টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। ওই গ্রেপ্তার করা হয় সিফাতকে।
-এটি