এম. মিজানুর রহমান
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি>
লামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পানিস্যালবিল এলাকায় খেটে খাওয়া দিনমজুর মহিলা শহর বানু (৬৫)। গত তিন বছর আগে এক মারাত্মক এক্সিডেন্ট হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়। পা না থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তার।
বিষয়টি ‘আলোকিত লামা’ নামে এক ফেসবুক গ্রুপ-সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে লামা পৌর ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মিহলা কাউন্সিলর, জোসনা বেগমের বড় ছেলে, লামা সরকারি মাতামুহুরি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মুহা. ওমর ফারুক প্লাস্টিকের পা দেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে প্লাস্টিকের পা শহর বানুকে হস্তান্তর করেন। এতে সে হামাগুড়ি দিয়ে একটু একটু চলতে পারলেও তার জন্য একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে একজোড়া ক্রেস, হুইল চেয়ার ও কমোড চেয়ার।
জানা যায়, করোনার এই দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে অভাব অনটনে দিন যাচ্ছে তার। সাম্প্রতিক সরকারি বরাদ্দকৃত কোন ধরনের ত্রান সহায়তা পাইনি বলে জানিয়েছেন অসহায় শহর বানু। এমনকি ইউপি মেম্বারসহ চেয়ারম্যান থেকে ত্রানের সহায়তা চাইলেও দেবে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ঠিক তবে এখনো সেই ত্রানের দেখা মিলেনি এমনটাই জানিয়েছেন তার ছোট মেয়ে রোজিনা বেগম।
তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েকদিন যাবৎ ঔষধ কিংবা ভাত খেতে পারতেছি না টাকার অভাবে। স্থানীয় কোন ব্যাক্তিবর্গ আমার খবরও নিচ্ছে না। তিনি জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজসহ বিত্তবানদের কাছে থেকে তার মায়ের একজোড়া ক্রেস, হুইল চেয়ার ও কমোড চেয়ারসহ কিছু টাকা কামনা করেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মুহা. আইয়ুব 01640656033 (বিকাশ পার্সোনাল)। মুহা. নুরুল আবছার 01618865903 (বিকাশ পার্সোনাল)।
-এএ