মুফাচ্ছেল হুসাইন
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে>
গৌরীপুর উপজেলা সিধলা ইউনিয়নে কুতুবপুর ও উকুয়াকান্দা গ্রামে কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন কোন উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় রাস্তাটি বেহাল অবস্তা হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে দুই এলাকার প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
হাসনপুর দাখিল মাদরাসা থেকে উকুয়াকান্দা শেষসীমা পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা। অথচ সড়কটি ওই এলাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সাধারন মানুষ এবং শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ চলাচল করে। কয়েক যুগ পূর্বে নির্মিত এই রাস্তাটি বেশ কয়েকবার সংস্কার হলেও বৃষ্টির দিনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়।
তবে সম্প্রতি ‘ইসলামী মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ এর সদস্য এবং এলাকাবাসী মিলে বালি দিয়ে রাস্তা মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাটারি চালিত অটো এবং ট্রাক্টর চলাচলের ফলে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়।
কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা মুহা. সাইফুল ইসলাম বলেন, শুকনো মৌসুমে যাতায়াত ব্যবস্থা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ায় অধিক ভাড়া দিয়ে গ্রামবাসির চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টি আসলে রাস্তাটি যাতায়াত অযোগ্য হয়ে যায়।
উকুয়াকান্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিম জানান, দীর্ঘদিন রাস্তার উন্নয়ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলে যানবাহনে চলাচলতো দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তার এই দূরাবস্থার কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে।
সবদিক বিবেচনা করে রাস্তাটি দ্রুত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। রাস্তাটি উন্নয়ন হলে সর্বস্তরের মানুষের জীবন চলাচলে সহজ হবে বলেও জানান তিনি।
সড়কের এই অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াদ সরকার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে কিন্তু এই রাস্তাটি ঠিক হচ্ছে না। কেন? অথচ এই রাস্তাটি আমাদের এমপির নিজ এলাকায় রয়েছে! চলাচলের অনুপযোগী সড়কে চলতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনায় শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। তাই দ্রুত সংস্কার করে চলাচল যোগ্য করে তোলা আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর আমরা এ রাস্তাটি সংস্কার করেছি। কিন্তু অটো এবং ট্রাক্টর চলাচলের কারনে রাস্তার এই বেহাল দশা। আগামী ডিসেম্বরে নতুন বাজেট আসলে রাস্তাটি মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি।
-এএ