মিজানুর রহমান
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি>
বান্দরবান লামা উপজেলায় বিলকিছ আক্তার (২০) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নিহতের বাড়ি থেকে পৌনে ১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লামা খালের পূর্ব পাশে মতির বাগানে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত বিলকিছ আক্তার রুপসীপাড়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মৃত মুহা. শহীদুল ইসলাম কারবারীর মেয়ে। সে লামা সরকারি মাতামুহুরী কলেজের বিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী।
নিহত বিলিকিছের ছোট ভাই হায়দার হোসেন সাদ্দাম বলেন, সকাল থেকে আমার বোনকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মা বলেন বোন নানার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমার বোন বিলকিসকে পার্শ্ববর্তী মতির বাগানে গামারী গাছে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখি। পরে পার্শ্ববর্তী মুহা. ইব্রাহিম প্রকাশ লাদেনের সহায়তায় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে বোনের লাশটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
এবিষয়ে তার মা হাওয়া নুর বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আমার বড় ছেলের বউ সুমি আক্তারের সাথে আমার মেয়ে বিলকিস আক্তারের ঝগড়া হয়। ছেলের বউ আমার মেয়েকে গালমন্দ করে। সেই অপমানের ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি।
এদিকে একই ঘটনার জেরে গতরাত সাড়ে ৮ টায় নিহত বিলিকিছের বড় ভাই হাবিবুর রহমানও বাড়ির পিছনে গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে ফাঁসির রশি বাধা গাছের ডালটি দুর্বল হওয়ায় সে ডাল ভেঙ্গে পড়ে যায়।
নিহতের চাচা মুহা. পিন্টু বলেন, গতরাতে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে আমার ভাতিজা হাবিবুর রহমানও বাড়ির পিছনে গাছে উঠে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। ফাঁসির রশি বাধা গাছের ডালটি দুর্বল হওয়া সে ডাল ভেঙ্গে পড়ে যায় এবং বুকে ব্যথা পায়। শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন বের হয়ে হাবিব কে ঘরে নিয়ে আসে।
অপরদিকে খবর পাওয়ামাত্র সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুহা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে লামা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সুমি আক্তারকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে।’
-এএ