আওয়ার ইসলাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার ২ হাজার শিক্ষক বিগত ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে শিক্ষকগণ এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন।
দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় সদস্য ও গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছি। আমরা ৬ মাস যাবত বেতন পাই না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি। একদিকে করোনা (কোভিড-১৯) মহামারির প্রাদূর্ভাবে কষ্টে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় ৬ মাস যাবত বেতন- (সম্মানী) ঈদ বোনাস না পেয়ে চরমভাবে হতাশায় ভুগছেন।
দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক অভিপ্রায় (স্বদিচ্ছায়) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো সল্প সময়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অথচ ৬ মাস বেতনহীন শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাই আমি আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব দ্রুত ভালো একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তা করে প্রায় ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, ২০২০ জন শিক্ষক, অভিভাবক, জমিদাতা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং হাজার হাজার রেজাল্ট প্রত্যাশীদের মুখে হাঁসি ফোটাবেন।
এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গোপালগঞ্জ জেলার ডিডি মুহা. মাসউদুল হক বলেন, দারুল আরকাম মাদ্রাসার শিক্ষকরা সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাকরি করেন। নতুন প্রকল্প পাশ না হওয়ায় তাদের ৬ মাস যাবত বেতন- (সম্মানী) ঈদ বনাস বন্ধ রয়েছে। একনেকে প্রকল্প পাশ হলেই, তারা আবার বেতন পাওয়া শুরু করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি গোপালগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহা. শহিদুল ইসলাম শহীদ, দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর জেলা সভাপতি মুফতি বেলায়েত হোসেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহা. সাখাওয়াত হোসেন (এমএসএস), প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহা. আলম হোসেন, মুফতী মুহা. অহিদুল ইসলাম, মাওলানা মুহা. শামসুল ইসলাম, মাওলানা মুহা. আব্দুল্লাহ, মাওলানা আবুল খায়ের, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আল আমিন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা শহিদুল প্রমুখ।
-এএ