বেলায়েত হুসাইন ।।
করোনাকালে সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত সংগঠনের নাম ‘তাকওয়া ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশন বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা রোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
ইতিমধ্যে দেশব্যাপী প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে সংগঠনটি। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় জেলাভিত্তিক টিম গঠন করে লাশ দাফনকাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে ‘তাকওয়া ফাউন্ডেশন। ফরিদপুর জেলা তাকওয়া ফাউন্ডেশনের মুফতি মুস্তাফিজুর রহমানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রশংসিত হচ্ছেন এলাকাবাসির কাছে।
ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুরের মো. গোলাম মোস্তফা (৬০) গতকাল (২০ মার্চ) বিকাল ৩ টায় জ্বরে ভূগে ইন্তেকাল করেছেন। মরহুমের গোসল কাফন ইত্যাদি খেদমতে তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুর জেলা টিম প্রধান মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান সাহেবকে ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেথু আহবান জানালে তিনি তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে শহরের পূর্ব খাবাসপুর বরই তলা মৃত্যু বাড়িতে উপস্থিত হন।
তাকওয়া ফাউন্ডেশনের নিবেদিত আলেম স্বেচ্ছাসেবীগণ রাত ১১ টা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এ খেদমতে অংশগ্রহণ করেন তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুর টিমের প্রধান মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, হা: মাওঃ আবু নাসির, পৌর সভার জিম্মাদার হা: মাওঃ মুফতি শিহাব উদ্দিন, মাওঃ মিজানুর রহমান, হা: মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর জনাব ইদ্রিস আলী খান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব মোঃ রেজাউল হক আফতাব সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।
সকলেই তাকওয়া ফাউন্ডেশন এর সেচ্ছা শ্রমের প্রশংসা করে এ আলেম স্বেচ্ছাসেবীদের কৃতজ্ঞতা জানান। নিবেদিত এ আলেম স্বেচ্ছাসেবীরা সকল বিপদ ও দূর্যোগে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং সকলকে তাকওয়া ফাউন্ডেশন এর জন্যে দোয়ার আবেদন জানিয়ে তাকওয়া ফাউন্ডেশন ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এ পর্যন্ত সর্বমোট ১২ টি মৃত লাশের দাফন কার্য সম্পাদন করলাম৷ মানবতার কল্যাণে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছি যতদিন পর্যন্ত এ সংকট থেকে মহান আল্লাহ আমার দেশবাসীকে মুক্তি না দেন ততদিন আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত থাকবো ইনশাআল্লাহ। ফরিদপুর জেলায় আমাদের সেবা পেতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৬২৮২৯০৪৩ নম্বরে৷