আওয়ার ইসলাম: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) চিহ্নিত করা ১৯টি ওয়ার্ড বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) থেকে লকডাউন করা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) সিলেটে সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা প্রশাসনের মাল্টি সেক্টরাল কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দুপুরে এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, আমরা আজকে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি সভা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) থেকে তা কার্যকর হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নগরীর ১ থেকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ সুরমা নদীর উত্তর পারের এলাকাগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী বেশি থাকায় ওইসব এলাকায় রেড জোন বেশি হয়েছে। আমরা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মোট ১৯টি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে দক্ষিণ সুরমায় শুধু ২৭ নম্বর ওয়ার্ড রেড জোন বাকি সবগুলো এপারে পড়েছে। রেড জোন চিহ্নিত ওয়ার্ডগুলো স্বাভাবিকভাবেই লকডাউনের আওতায় থাকবে।
সিভিল সার্জন বলেন, উপজেলা নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেমন এক ইউনিয়নে যদি কোনো বাড়িতে তিনজন রোগী থাকে তাহলে পুরো ইউনিয়ন লকডাউন হবে নাকি শুধু সেই বাড়িটি লকডাউন হবে এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের রেড জোনগুলোও লকডাউনের আওতায় আসবে। উপজেলার তথ্য আগামী বৃহস্পতিবার জানানো হবে।
সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, এবারের লকডাউন কঠোর হবে। সিলেটের জেলা প্রশাসক লকডাউন কার্যকর করতে সবার সঙ্গে আবার সভায় বসছেন। কারণ সিলেটের মানুষ যেভাবে রাস্তায় বের হচ্ছেন। তাদের যে কোনোভাবে ঘরে রাখতে হবে। নইলে সিলেটের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) থেকে মোট ২৭টি ওয়ার্ডকে আলাদা আলাদা করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। এই তালিকায় ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডকেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ইয়েলো জোনে আছে দুটি ওয়ার্ড ও গ্রিন জোনে আছে ছয়টি ওয়ার্ড। গ্রিন জোনভুক্ত ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।
রেড জোন হিসেবে সিসিকের যেসব ওয়ার্ডকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ১ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড, ১২ থেকে ১৪ এবং ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়াও ১৯ থেকে ২২ নম্বর ওয়ার্ড আর দক্ষিণ সুরমায় রেড জোনে রয়েছে একমাত্র ২৭ নম্বর। ইয়েলো জোনে রয়েছে ১০ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। আর ১১ ও ১৫ এবং ২৩ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড গ্রিন জোনে রয়েছে।
-এএ