আওয়ার ইসলাম: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে গত ১২জুন শুক্রবার নবম শ্রেণির ছাত্রী হিরামণিকে একা ঘরে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বখাটে দূর্বৃত্ত সন্ত্রাসিরা। হিরামণি হারুনুর রশিদের মেয়ে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে তার মা ও ছোট দুই ভাইবোন ঢাকায় হাসপাতালে ছিল। হিরামণি শুক্রবার সকালে নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসে এ হত্যাকান্ডের শিকার হন।
হিরামনিকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেছেন তার মা ফাতেমা বেগম। এতে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একটি টিম। পুলিশ বলছে, দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেফতার করে রহস্য উদঘাটন করা হবে।
অন্যদিকে, হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলার তরুন আলেম ও যুবসমাজের প্রাণের সংগঠন "আলোর দিশারী সাহিত্য কাফেলা লক্ষ্মীপুর"।
কাফেলার পরিচালক মুফতি মুহাম্মাদ আরাফাত প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হিরামণি আমাদের বোন। আমরা আমাদের বোনের হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক সুষ্ঠু বিচার চাই। তা না হলে লক্ষ্মীপুরে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে। বিচার কাজে কোন ধরনের গড়িমসি হলে সাধারন মানুষ ফুঁসে উঠবে। এতে আইন শৃংখলা বিঘ্নিত হলে প্রশাসনকেই দায়ভার নিতে হবে।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কাফেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মাদ মিসবাহ নূরী বলেন, জাতির এ ক্লান্তিময় মহামারির সময় এমন জঘন্যতম অপরাদ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এমন অপরাধই আযাব ও গজব মানুষের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। হত্যকারীরা পাষণ্ড না হলে এ সময়ে এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না। অতএব অপরাধী যেই হোক বিচারের আওতায় আনতে হবে।
-এটি