আবুল কাশেম অফিক
বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে>
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের গহরপুর দত্তপুর গ্রামের ইউনুছ আহমদ শামীম (৩৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে সিলেট র্যাব-৯ ও দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রে র্যাব জানতে পারে, এই হত্যাকান্ডে জড়িত এক দম্পতি। অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়ায় শামীমকে সিলেটের বিয়ানীবাজারে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেন ওই দম্পতি ও তাদের এক সহযোগী।
শুক্রবার (১২ জুন) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোর রাতের দিকে র্যাব-৯ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু মুসা মুহা. শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহা. সামিউল আলমসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সিলেটের মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর এলাকায় গিয়ে গ্রেফতার করেন হত্যাকান্ডের মূলহোতাদের। তবে পলাতক রয়েছেন তাদের এক সহযোগী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোছা: মৌসুমী বেগম (২৩) ও তার স্বামী রুহুল আমিন (৩৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আসামীরা স্বীকারোক্তিতে জানান, খুন হওয়া ইউনুস আহমদ শামীম মৌসুমী বেগমকে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চাপ এবং উত্যক্ত করতেন। এরই প্রতিশোধ নিতে মৌসুমীর স্বামী রুহুল আমীন ও তার বন্ধু পলাতক আসামী শাহেদ এই হত্যা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে।
গত বুধবার (১০ জুন) ইউনুস আহমদ শামীমকে বিয়ানীবাজারে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে অনুমান রাত একটার দিকে তাকে হত্যা করে মৃতদেহ বস্তায় ভরে দক্ষিণ সুরমার ধোপাঘাট এলাকার রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য পলাতক আসামী শাহেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
উল্লেখ্য, বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে ইউনুছ আহমদ শামীম গত (৮জুন) সিলেট নগরীর এয়ারপোর্টের নয়াবাজার বাসা থেকে বের হয় নিখোঁজ হন। গত বুধবার (১০ জুন) বিকালের দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলামের ধোপাঘাট সড়কের পাশ থেকে তার বস্তাবিন্দ লাশ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ইউনুছের লাশ সনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
-এএ