মিজানুর রহমান
লামা (বান্দরবান) প্রতিতিনি>
বান্দরবান লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার ৫ একর বিশিষ্ট গাছের বাগানে আগুন দিয়ে ৫০০টি একাশি গাছ পুড়িয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ উঠেছে। ফাইতং ইউপির ৩নং ওয়ার্ড হিমছড়ি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, লামা উপজেলার পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গরু বাজার (ওয়ারঘোনা) গ্রামের ছৈয়দ আহমদের পুত্র আহমদ হোসেন (৪৫) এর দাবীকৃত ২লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে তার সংঘবদ্ধ দল নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে ভুক্তভোগি বাগান বাড়ি মালিকের ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বাগানে অগ্নিসসংযোগকারীদের বাধা দেয়ায় বাগানের পাহারাদার স্থানীয় আবদুল হামিদের পুত্র আবদু শুক্কুরকে বেধম মারধর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগি বাগান বাড়ি মালিক প্রেমানন্দ বড়ুয়ার পুত্র সাহাল কান্তি বড়ুয়া (৫০) বাদী হয়ে আজ রোববার (৩১ মে) দুপুরে লামা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এতে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গরু বাজার (ওয়ারঘোনা) গ্রামের ছৈয়দ আহমদের পুত্র আহমদ হোসেন (৪৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বিগত ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর অভিযুক্ত আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে না পেয়ে প্রথমবার বাগান বাড়িতে আগুন দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২য় দফায় এ ঘটনা সংঘঠিত করেছে। বর্তমানে গাছ কেটে লুটের মহৌৎসব চালাচ্ছে তারা। এসিন্ডিকেট এলাকায় নিরীহ লোকজনের ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি জবর দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। তাই তারা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার প্রাথনা করেন।
এ বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি। আরো তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এএ