বেলায়েত হুসাইন।।
হত্যা মামলার সাক্ষি হওয়ায় আসামীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে মোবারকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজুল ইসলাম ওরফে জাকু সর্দার (৫৫) নামে আহত ওই ব্যক্তিকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তাকে ফমেকের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জাকু সর্দারের ভাতিজা তাহের মোল্যা (৩৯) বলেন, বেলা সাড়ে ১১চটার দিকে তার ভাই জুয়েল মোল্যা (২০) ও জাকু সর্দার একটি মোটর সাইকেলে রাঙা মুলারকান্দির দিকে এক আত্মিয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যার নেতৃত্বে তাদের উপর এ হামলা হয়।
তিনি জানান, জুয়েল মোল্যা পালাতে পারলেও জাকু সর্দার প্রথমে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে মোবারকদিয়া মাঠের পাট ক্ষেত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে আট করে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। রড ও শড়কি দিয়ে দুই পায়ে ১১টি ও দুই হাতে ৩টি গভীর কোপ সহ মাজার নিচে সারা শরীর পিটিয়ে থেতলে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে কিবরিয়া (১৭) ও বক্কর (১৮) নামে দুই কিশোরের মধ্যে কথাকাকাটির জের ধরে বাক প্রতিবন্ধী সলেমান মোল্যা (৬০) ওরফে বোবার বাড়িতে হামলা হয়।
এসময় সলেমান মোল্যার বড় ভাই মুনসুর মোল্যা (৬৫) ঠেকাতে গেলে গুরুতর আহত হন। বুধবার ভোররাতে তিনি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মুকুল (৩৫) বাদি হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যাকে হুকুমের আসামী করে ২১ জনের নামোল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনকে আসামী করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান সাক্ষি হন সিরাজুল ইসলাম ওরফে জাকু সর্দার।
বোয়ালমারী থানার ওসি আিমনুর রহমান বলেন, জাকু সর্দারের উপর হামলার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে বেলা ৩টা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা অভিযোগ দেয়া হয়নি তবে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
-এটি