আওয়ার ইসলাম: হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এক চিকিৎসককে ঢাকায় নিয়ে যেতে আসে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু ওই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে তাকে না নিয়েই ফিরে যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
গতকাল রোববার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার বহুতলা কলোনিতে।
ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসক আবু জাফর রুমি হোসেন (৩৭) চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তার স্ত্রীও চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের প্রভাষক।
জানা যায়, গত চারদিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ডাক্তার আবু জাফর রুমি হোসেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিনই তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো প্রয়োজন হয়। কিন্তু তার অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন যে, সড়ক পথে তা সম্ভব ছিলো না। তাই ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ইমপ্রেসের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী বহুতলা কলোনি মাঠে অবতরণ করে। এ সময় এলাকার বহু উৎসুক জনতা সেটি দেখার জন্য সেখানে জড়ো হন। এক পর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্বরতদের মনে হয় চিকিৎসক আবু জাফর রুমি হোসেন করোনায় আক্রান্ত! এরপর ওই চিকিৎসককে না নিয়ে ফিরে যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর পরই আবু জাফর রুমি হোসেনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তিনদিন আগে আসা ওই রিপোর্টে তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
'হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণের ১৫ মিনিটের মধ্যে অসুস্থ চিকিৎসককে না নিয়েই চলে যায়। তবে এ বিষয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানিটির কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।'
-এএ