মাহমুদুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি>
করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এক ভীতির নাম। আধুনিক বিশ্বের সব পরাশক্তি, চিকিৎসা খাতের অভাবনীয় উৎকর্ষ, সবাই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে এ মহামারীর কাছে। বাংলাদেশেও পড়েছে এ মহামারীর প্রভাব। বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ কল কারখানা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এ দেশের মানুষ। বিপাকে পড়েছে মধ্যম আইয়ের মানুষেরা। কাজ না থাকায় দেখা দিচ্ছে খাদ্য সঙ্কট। দিন এনে দিন খায় এমন মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। দেশের এমন সঙ্কটময় মুহূর্তে মধ্যম আয়ের মানুষ, অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে কিশোরগঞ্জের একটি অলাভজনক দ্বীনি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দারুল আরকাম ইনিস্টিটিউট।
দারুল আরকাম ইনিস্টিউট এর ব্যবস্থাপনায় আকিজ ট্রাস্ট এর সহযোগীতায় কিশোরগঞ্জের তরুন আলেমদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৫ শ’ পরিবারকে রামাদান খাদ্য (সাহরি ও ইফতার আইটেম) সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মক্তব ও মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন,পরে খেটে খাওয়া সাধারণ মধ্যম আয়ের মানুষের মাঝে দিনের আলোতে, রাতের আঁধারে কখনো পরিচয় গোপন রেখে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
যা আছে রামাদান খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেটে- ১০ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি ছোলা, ২ কেজি মুড়ি, ১ কেজি খেজুর, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি আটা, ১ কেজি পেঁয়াজ, গুড়ো দুধ, হলুদ গুড়া, মরিচ ইত্যাদি।
ব্যতিক্রমধর্মী অলাভজনক দ্বীনি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দারুল আরকাম দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তে জন সাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে আসছে সব সময়। রমজানের আগে বিপর্যস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও অনুদান প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে দারুল আরকাম পরিবার।
এদিকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার শুরু হওয়া মাত্রই কিশোরগঞ্জের তরুন আলেম প্রজন্ম ও দারুল আরকামের উদ্যেগে শহরের মসজিদগুলোতে করোনা ভাইরাস সতর্কতামূলক কাজ হিসেবে মাসনুন দোয়া ও দিক নির্দেশনামূলক ব্যানার সাটিনো হয়েছিল। এ ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
কিশোরগঞ্জে সামাজিক সেবামূলক কাজে আলেমদের অগ্রণী ভূমিকা থাকায় তাদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহরের বাসিন্দারা।
-এএ