আওয়ার ইসলাম: করোনা সংক্রমণের ভয় থাকলেও জীবিকার প্রশ্নে আজ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেয়া হয়েছে শপিংমল ও দোকানপাট। তবে জীবন ও জীবিকার জটিল প্রশ্নে জীবনের পাল্লাই ভাড়ি হয়েছে। সরকারি বাধা না থাকলেও দোকান খুলছেন না রাজধানীর ৯০ ভাগ দোকানী।
গেল ৮/ ১০ দিনে প্রায় প্রতিদিনই ৫০০'র উপরে পাওয়া যাচ্ছে কোভিড নাইন্টিন আক্রান্ত রোগী। বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাই হট স্পটস। এর মধ্যেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জীবিকার প্রয়োজনেই খুলছে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, পাটুয়াটুরি, ইসলামপুর এলাকার পাইকারি মার্কেট গুলো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি হওয়ায় এসব মার্কেটে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কম। সদরঘাট ইস্ট বেঙ্গল ইনিস্টিটিউশন সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন,কোন পাইকারি ব্যবসায়ি আমাদের এখানে আসছে না। ফোনের মাধ্যে আমাদের যোগাযোগ হয়, আমরা মাল পাঠিয়ে দি। তাই আমাদের এখানে স্বাস্থ ঝুঁকি কম থাকছে।
এদিকে, ধানমন্ডিতে খোলা থাকছে রাপাপ্লাজা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেবে অন্যান্য শপিংমলগুলো। এছাড়াও খোলা থাকবে বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ওপরের দোকানপাট। এসব দোকানে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। খোলা থাকবে এলিফেন্ট রোডের বেশ কিছু দোকানও।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক ভুইয়া বলেন,সদরঘাট ও যাত্রাবাড়ি এলাকার কিছু দোকানপাট খোলা থাকবে।এছাড়া এলিফ্যান্ট রোড মোটামোটি খোলা থাকবে বলে আমরা জেনেছি।
তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও জীবনের প্রশ্নে দোকান বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন রাজধানীর ৯০ শতাংশ দোকানী। বন্ধের তালিকায় আছে, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা শপিংমল থেকে শুরু করে ঢাকা নিউমার্কেট, চাদনী চক, গাউসিয়া, মোতালেব প্লাজাসহ প্রায় সব শপিংমল ও মার্কেট। এছাড়াও বন্ধ থাকছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ার, মিরপুরের ছোট বড় সব শপিংমল ও মার্কেট। শতভাগ বন্ধের তালিকায় আছে উত্তরা, গুলশান, বনানী এলাকার সব শপিংমল।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক ভুইয়া বলেন,যারা একান্তই দোকান না খুলে থাকতে পারছে না তারা জীবন রক্ষার জন্যই তারা একাজ করছেন। আর যারা বন্ধ রেখেছেন তারা খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিকে, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মানার শর্তে খোলা থাকছে আড়ংয়ের ১৪টি আউটলেট।
-এটি