মিজানুর রহমান
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি>
বান্দরবান লামা উপজেলার প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থেকে ১৬ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি।
শনিবার বেলা ১১টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দল তাকে করোনা মুক্ত ঘোষণা দেন।
এসময় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান- লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেনসহ হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তার নার্সরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক বলেন, লামায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয়বার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্টের জন্য পাঠানো হলে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ফলে তাকে আজ ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের লামায় গত ৪ দিন আগে আরও একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়ছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২ জন।
সে উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউপির গয়াল মারা গ্রামের বাসিন্দা। গত ৩ মে চকরিয়া হাসপাতালে তার নমুনা দিলে ৫ মে রাতে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পরের দিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ প্রশাসন গিয়ে আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ও এলাকা লকডাউন করে তার পারিবারিক আইসোলেশন নিশ্চিত করেন। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার বাড়ি ফেরার অনুমতি পেয়েছেন লামার রাশেদা বেগম আর নাইক্ষংছড়ির আলম আরাসহ তিনজন। এর আগে ২৬ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান আবু ছিদ্দিক।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই মারমা জানিয়েছেন, গত ৫ মে সবশেষে লামা উপজেলার এক যুবকসহ মোট ৯ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট ৭ জনকে সুস্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির আবু ছিদ্দিকের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। এবং তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করা যেতে পারে। তবে অন্যরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেলেও সেখানে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরো ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমার সহকর্মীরা সীমাহীন আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই বান্দরবানবাসী আশার আলো দেখছেন এবং বান্দরবান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা জয়ের সাফল্য ঘরে তুলতে পেরেছে।
-এএ