আল-আমিন (বাপ্পি)
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি>
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং সেই সাথে ঘাতক আশিকুজ্জামান আশিক (২৭) কে রোববার বিকেলে ময়মনসিংহের আকুয়া বোর্ডঘর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা।
আজ সোমবার বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মুহা. আহমার উজ্জামান।
জানা যায়, ঘাতক আশিকের বাড়ি ময়মনসিংহের গোহাইলকান্দি এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত সোহেল মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, তৌহিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। তাই তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়। সদর সার্কেল এবং আমি এটা ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করি।
‘প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি চুরি সংক্রান্ত মনে হাওয়ায় ডিবি এবং থানা পুলিশের যৌথ অভিযান এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাতক আশিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।’
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি, ঘাতক একজন পেশাদার চোর এবং মাদকসেবী। হত্যাকাণ্ডের ২দিন আগে ঘাতক এবং তৌহিদের মাঝে রমজান মাসে সিগারেট খাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ড হয়, ঘাতক তৌহিদের মোবাইল চুরি করা উদ্দেশে তার পেছনে পেছনে তার বাসা এবং রুম দেখে আসে।
এরপর ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে তৌহিদের বাসার ছাদ দিয়ে মোবাইল চুরি করার চেষ্টা করে। তখন তৌহিদ ঘাতককে ধরে ফেলায় তাদের মাঝে কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধ্বস্তির হয়, ঘাতক আশিক এক পর্যায়ে তৌহিদকে রোড দিয়ে পিটিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় তৌহিদের পরিহিত রক্তমাখা প্যান্ট এবং গেঞ্জি আজকে গাজীপুরের শ্রীপুর এমসি বাজারের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
তৌহিদের হত্যাকারী ঘাতক আশিকুজ্জামান আশিক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বঘাতক আশিক জানান তিনি।
-এএ