আওয়ার ইসলাম: ঘুষের টাকা না পেয়ে ছয়টি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে। তবে ঘুষের বিষয়টিকে তিনি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন। সিলগালা করা হাসপাতালগুলো নোয়াখালীর সেনবাগের।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই অভিযোগ করেন মনোয়ারা প্রাইভেট জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডক্টর পয়েন্ট ইউনিট-২ এর মালিক একেএম ইমাম শাহরিয়া।
তিনি বলেন, নোয়াখালী সিভিল সার্জেন ডা. মমিনুর রহমান তার প্রতিনিধি খায়রুল আনাম সবুজের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার ঘুষ চেয়েও পাননি। এর পর বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সিভিল সার্জন তার মনোয়ারা জেনারেল হাসপাতাল ও ডক্টর পয়েন্টে এসে কোনো কাগজপত্র না দেখেই স্টার্ফ ও নার্সদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এ সময় হাসপাতলের দারোয়ান রিয়াদকে রুমের ভিতরে রেখেই বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, একইদিন বুধবার দুপুরে উদ্বোধন হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে ছমির মুন্সিরহাট আলিফ জেনারেল হাসপাতালটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালের মালিকের পিতা হার্টঅ্যাটাক করে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইমাম শাহরিয়া আরো অভিযোগ করেন, কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই সিভিল সার্জন সেনবাগ পৌর শহরের মায়া প্রাইভেট হাসপাতাল, নিউ লাইফ স্কয়ার হাসপাতাল সিলগালা করা হয় এবং নিউ সেনবাগ প্রাইভেট হাসপাতালের তিন রোগীকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করে নিউ সেনবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল ও সেনবাগ গ্রামীন হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করেন।
তবে সির্ভিল সার্জন ডা. মমিনুর রহমান জানান, সিলগালা ও বন্ধ ঘোষণা করা হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর কোনো বৈধ কাজপত্র ছিল না। কাগজপত্রবিহীন কোনো হাসপাতাল চলতে দেওয়া হবে না। ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জন বলেন, এটি অবান্তর অভিযোগ।
-এটি