আওয়ার ইসলাম: এসএসসি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে না দেয়ায় বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা শেষে শিবচরের দুই কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম ও সহকারী কেন্দ্র সচিব হারুন-অর-রশিদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ওই দুজনের স্থলে পাচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলমকে কেন্দ্র সচিব ও পাচ্চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহআলম সিরাজীকে সহকারী সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ রায়কে প্রধান করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুল আলমকে তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়।
তিন কার্য-দিবসের মধ্যে এ তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসএসসি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুহা. আসাদুজ্জামান।
এদিকে বিদ্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় মামলা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসএসসি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম ও সহকারী কেন্দ্র সচিব হারুন-অর-রশিদকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে না দেওয়ায় বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের দিন শেষ করে প্রথমে শিবচর নন্দ কুমার মডেল ইনস্টিটিউশন ভেন্যুতে ব্যাপক ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।
এ খবর দ্রুত শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে পৌঁছালে সেখানেও ভাঙচুর করে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। এই সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ভাঙচুর চালায়। দুটি বিদ্যালয়ের ভবনের দরজা, জানালা, চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
-এএ