আওয়ার ইসলাম: ইসলাম কখনও জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সমর্থন করেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আলেম সমাজই পারে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স মাঠে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদক বিরোধী আলেম-ওলামা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জঙ্গিবাদের নামে যে ঘটনাগুলো ঘটানো হলো কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে এর শিকার কারা হয়েছে? সবাই মুসলিম। মুসলমান দেশ ধ্বংস হয়েছে একের পর এক। যে সমস্ত স্থিতিশীল দেশ ছিল, মোটামুটি শান্তিপূর্ণ দেশ ছিল ওই দেশগুলোতে এখন দুই তিন দল তৈরি হয়েছে যারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। বড় বড় সামরিক শক্তিগুলো সেখানে প্রবেশ করে তাদের মাঝে রাইফেল বিক্রি করছে, অস্ত্রের ব্যবসা করছে। আর সেই অস্ত্র কিনে মধ্যপ্রাচ্যের ভাইরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। এখান থেকেই শুরু। এর চূড়ান্ত পর্যায় হলো আইএস।
তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে দেখবেন এরা মুসলমানদের ধরে হাত পা বেঁধে গরুর মতো জবাই করে টাঙিয়ে রাখে। তাহলে এরা কোন ইসলাম কায়েম করবে? এরা কোন ইসলামের কথা বলে? প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নতুন রাষ্ট্র তৈরি করে দেয়। সে সময় ওহাবিজমের গোড়াপত্তন ঘটে। যারা সালাফিস্ট নামে পরিচিত। ইসলামের রিসার্চের যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোকে তারা মানে না। এই সালাফিস্টরাই মূলত জঙ্গিবাদের মূল। এই সালাফিস্টদের ফাইন্যান্স করেছে কে? ঔপনিবেশী শক্তিরা।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, মসজিদ ও মাদরাসা জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র। এক সময় মসজিদ কেন্দ্রীক জ্ঞান বিতরণ ও লেখাপড়া করা হতো। সেখান থেকেই আজ মাদরাসা প্রথা চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসা ছাত্রদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। মাদরাসা থেকে লেখাপড়া করে বড় অফিসার হওয়া যাবে। কওমী মাদরাসার সনদকে এমএ সমমান করা হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদক নির্মুল করতে না পারলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, র্যাব-১২ বগুড়ার কমান্ডার (সিও) লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য দেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বগুড়া কমান্ড রুহুল আমিন বাবলু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু এবং সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুসহ আরো অনেকে। সমাবেশে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের ১০ হাজার আলেম ওলামা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/