মু. আতাউর রহমান আলমপুরী: ব্যক্তিগত ব্যস্ততা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা শাখার সেক্রেটারির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, পদ বলতে যা বুঝায় সে অর্থে ইসলামী আন্দোলনে কোন পদ নেই। আছে কিছু দায়িত্ব এবং এ দায়িত্বগুলো যারা আঞ্জাম দেয় তারা স্বাভাবিক ভাবেই কিছুদিন পর পর পরিবর্তন হয়। মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষেত্রেও এমনই হয়েছে। আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে যে কেউ যে কোন সময় দল থেকে অব্যহতি নিতেই পারে।
পদত্যাগের পর মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক নিজ ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, আমি ফেনী জেলায় তিন সেশন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে এসেছি। সদর উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ছিলাম। জেলার সদস্য, প্রশিক্ষণ, সাংগঠনিক ইত্যাদি পদে একাধিক বার দায়িত্ব রত ছিলাম। জেলা শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম আহ্বায়ক ছিলাম। জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আয়ইম্মা পরিষদ এর সদস্য সচিব ছিলাম, এখনো সেক্রেটারি পদে আছি।
আমার রাজনীতির ইতিহাস ২৭ বছরের। দু'টি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আমি নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়িয়েছি। দীর্ঘ এ রাজনৈতিক জীবনে আমি কাউকে কখনো অসম্মান করিনি। ইচ্ছাকৃত কারো ক্ষতি করিনি। কাউকে মর্যাদাদানের ক্ষেত্রেও বাড়াবাড়ি করিনি। বক্তব্য দিতে গিয়ে কারো সামনাসামনি প্রশংসাও করিনি।
ইসলামী রাজনীতির সাথে বস্তুবাদী রাজনীতিকে কখনো একাকার করিনি। বয়সে অনেক ছোটকেও সম্মান দিতাম। রাজনীতি থেকে আমি বিদায় নিচ্ছি, এখন আমি কবর পথের যাত্রী। বাকি জীবনটা আখেরাতের ফিকিরে কাটাতে চাই। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ফেনী জেলা ইসলামী রাজনীতির পরিচিত মুখ। ফেনী (৩) সোনাগাজি আসন থেকে পরপর দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সোনাগাজী উপজেলার সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে। এরপর ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন জেলা সেক্রেটারি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করার মধ্যে দিয়ে সর্বশেষ তিনি জেলা ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তবে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে। তবে তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলেননি।
-এটি