শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কেউ হতাহত না হলেও মসজিদের ভেতরে থাকা কুরআন শরিফ ও কার্পেট পুড়ে গেছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার ওয়াহেদ পাড়া এলাকার ওই জামে মসজিদে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বোয়ালীয়া এলাকার ‘ওয়াহেদ পাড়া জামে মসজিদের’ নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো এই মসজিদটি শুরুতে ‘আশরাফ আলী তালুকদার জামে মসজিদ’ হিসেবে নামকরণ করা হলেও পরবর্তীকালে মসজিদের জায়গা সরকারি খাস জমিতে পরিণত হয়। এরপর থেকে ওই মসজিদের নাম দেওয়া হয় ‘ওয়াহেদ পাড়া জামে মসজিদ’।

তবে মাসখানেক আগে ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালক দাবি করে স্থানীয় মো. জাকের ও মো. নেজাম তাদের দাদা আশরাফ আলী তালুকদারের নামে ওই জামে মসজিদে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এতে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরে ওই বিরোধ মীমাংসায় উপজেলা প্রশাসন থেকে একাধিকবার বৈঠকের আয়োজনও করা হয়।

রবিবার সকালে মসজিদে আগুনের ঘটনা ঘটলে এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়।

মসজিদের ইমাম মো. নেজাম উদ্দিন (৩০) বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে আমি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মসজিদে ছিলাম। পরে সকাল ৯টার দিকে এলাকার লোকজন মসজিদে আগুন দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দিলে আমি দ্রুত এসে আগুন নিভিয়ে দেই। কিন্তু ততক্ষণে মসজিদের চারটি কুরআন শরীফ ও কার্পেট আগুনে পুড়ে যায়।’

এ দিকে, মসজিদের মোতাওয়াল্লি দাবিদার মো. জাকের বলেন, ‘কাগজপত্রে এই মসজিদের মোতাওয়াল্লি আমরা। প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় দলিলাদিও জমা দিয়েছি। রবিবার ৯টার দিকে কে বা কারা মসজিদে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ইমাম আগুন জ্বলতে দেখে সবাইকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে তারা আগুন নেভান। ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে।’

এ ঘটনায় আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ওসি দুলাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, মসজিদটির নামকরণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। পূর্বে এ মসজিদের নাম ছিল ‘আশরাফ আলী তালুকদার জামে মসজিদ’। পরে মসজিদের জায়গা সরকারি খাস জমি হয়ে যায় এবং এলাকাবাসী মসজিদের আশপাশে আরও কিছু জমি দান করে। তখন থেকে মসজিদটি ‘ওয়াহেদ পাড়া মসজিদ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

তিনি বলেন, ‘আগুনের খবর শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মসজিদের ইমাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ