আওয়ার ইসলাম: গোয়াইনঘাট উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয় নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে।
১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ গোয়াইনঘাটের সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের সামাজিক পারিবারিক ও ধর্মীয় ব্যাপারে চিন্তা ভাবনায় গুরুত্ববহ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা ধার্মিক ও শান্তিপ্রিয় এলাকা। সংখ্যাধিক্যে মুসলিম বেশী এবং ইসলামের সঠিক আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে সবাই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আবদ্ধতায় আছে।
আমাদের এই উপজেলায় বাহির থেকে ভাড়া করে বিতর্কিত বক্তা নিয়ে এসে এই শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের মাঝে অশান্তি বিরাজ করার কোনো কারণ বা ইস্যু নেই। ইসলামের হক্ব ও হক্বানিয়তের উপর যারা অঠল আছে, যারা সবধরণের বিতর্ক থেকে মুক্ত তারাই এই অঞ্চলে এসে মানুষের হেদায়েতের কথা বলবে এবং সাধারণ মানুষ তা শ্রবণ করে উপকৃত হবে।
যারা ওয়াজ মাহফিলের নামে মঞ্চে গাণ পরিবেশন করে, ‘ঢেলে দেই? বা অপসংস্কৃতিময় অশালীন ভাষায় মঞ্চ মাতানো গান গেয়ে ওয়াজ মাহফিলের বারোটা বাজিয়ে দেয়, এরকম বক্তা গোয়াইনঘাটের পুত পবিত্র মাটিতে যেনো না ডুকতে পারে। এবং যারা দেশের প্রবীণ উলামা মাশায়েখদের এবং ইসলামের সঠিক মত ও পথের পাথেয় যারা শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানি প্রমুখ উলামায়ে কেরামকে অকত্য ভাষায় গালি গালাজ করে, সাধারণ মুসলমানদের ইমানে সন্দেহে পতিত করে, এদের কেউ গোয়াইনঘাটের কোনো অঞ্চলে যেনো না আসতে পারে। এরা নিসন্দেহে ইসলাম ও সমাজের ভুল ব্যাখ্যাকারী ও শত্রু।
তাই গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীসহ যারাই বিতর্কিত বক্তা, তারা কেউই যেনো গোয়াইনঘাট উপজেলায় না আসতে পারে এবং শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি বিরাজ সৃষ্টি না করতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা এসিলেন্ট, গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের প্রতিনিধি, পশ্চিম জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার অফিসারগণ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছের বক্তব্যে একত্মতা পোষণ করে গোয়াইনঘাটে বিতর্কিত বক্তা নিষিদ্ধ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
-এটি