আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম বন্দরে পলেস্টার টেক্সটাইলের পরিবর্তে ২ কন্টেইনার বালু আনার মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনা উদঘাটন করেছে কাস্টমস। ২টি চালানের মাধমে কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে ধারণা করছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। চীন থেকে পলিস্টার সুতা আমদানির ঘোষণা দিয়ে দুই কনটেইনারে করে বালু নিয়ে এসেছে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।
আজ সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে কায়িক পরীক্ষার সময় একটি কনটেইনার খুলে বিপুল পরিমাণ বালু দেখতে পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি একই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের একই ঘোষণায় আনা আরও একটি কনটেইনার খুলে বালি পেয়েছিলেন তারা।
বন্দরে অবস্থানরত কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার বিএসসিআইসি সোয়ারা ফ্যাশন নামে একটি পোশাক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০৫ মার্কিন ডলার এবং ২৪ হাজার ১৯২ ডলারের দুটি পৃথক ঋণপত্র খোলে। এতে চীনের জিংতাই ইয়ামিঝি টেক্সটাইল কোম্পানি থেকে পলিস্টার সূতা আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
চালান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর গত ২২ জানুয়ারি আমদানিকারক পৃথক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সানজিদা অনুসূয়া জানান, গত ২৪ জানুয়ারি প্রথম চালানের কনটেইনার খালাসের সময় কায়িক পরীক্ষায় বিপুল পরিমাণ বালি পাবার পর আরেকটি কনটেইনারের পণ্য খালাস স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সোমবার সেটিও খুলে একইভাবে বস্তাভর্তি বিপুল পরিমাণ বালি পাওয়া গেছে। পলিস্টার সূতা আমদানির ঘোষণা দিয়ে ৪৯ হাজার ৬৯৭ মার্কিন ডলার পাচার করা হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেছেন, মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
-এটি