জহির উদ্দিন বাবর ।।
আমাদের ছোট্ট জেলা কিশোরগঞ্জে ছিলেন দুজন বড়মাপের আলেম। দেশের আলেম-উলামা ও দীনদার শ্রেণির কাছে একজন ‘শাহ সাহেব’ আরেকজন ‘খান সাহেব’ হিসেবে পরিচিত। শুধু পদ-পদবি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ে নয়, ইলমি যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্বে তাঁরা ছিলেন স্বমহিমায় ভাস্বর। হজরত মাওলানা আতাউর রহমান রহ. চলে গেছেন ২০০৮ সালে। আর আজ চলে গেলেন হজরত মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ রহ.।
জীবনে শাহ সাহেব হুজুরের মতো এতোটা প্রভাবশালী আলেম খুব কমই দেখেছি। কিশোরগঞ্জের ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক কোনো অঙ্গন তাঁর প্রভাবের বাইরে ছিল না। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের সবাই তাঁকে অসম্ভব সমীহ করতো। ভাবগাম্ভীর্য আর ব্যক্তিত্বের দিক থেকে তাঁর মতো ‘প্রিন্সিপাল’ খুব কমই দেখেছি।
জীবনে অনেক মসজিদে জুমা পড়েছি, কিন্তু শাহ সাহেব হুজুরের পেছনে জুমা পড়ার মতো প্রশান্তি কোথাও অনুভব করিনি। বিশুদ্ধ উচ্চারণ, মধুমাখা তেলাওয়াত, নিজস্ব স্টাইলে খুতবার কারণে তিনি ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয় একজন খতিব। দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা শুধু তাঁর পেছনে জুমা পড়তে আসত। শহীদি মসজিদে প্রাণবন্ত সেই খতিবের দেখা আর মিলবে না, ভাবতেই অন্তরটা কেঁদে উঠছে।
হে আল্লাহ আমাদের প্রিয় উস্তাদ শাহ সাহেব হুজুরকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন। আমিন।
(লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া)
আরএম/