শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সিলেটে বাঁধের অভাবে অরক্ষিত কোটি টাকার ফসল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবুল কাশেম অফিক
সিলেট (বালাগঞ্জ) প্রতিনিধি>

একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের অভাবে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গোরাপুর হাওরটি অরক্ষিত। ফলে প্রায় প্রতি বছরই অসময়ে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এই হাওর তলিয়ে কোটি কোটি টাকার ইরি-বোরো ফসল নষ্ট হয়। ফসল রক্ষা জন্য কৃষকরা নিজেদের উদ্যোগে মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে প্রতি বছরই অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার করেন। কিন্তু কুশিয়ারা ও বড়ভাঙ্গায় পানি বাড়ার সাথেই সাথেই এই অস্থায়ী বাঁধ তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়।

বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এই হাওরে অন্তত দেড় হাজার একর ফসলি জমি রয়েছে। গোরাপুর এই হাওর শস্য উৎপাদনের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখলেও এখন পর্যন্ত সামগ্রিক উন্নয়নের বাইরে রয়েছে।

অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সহায়তা থাকলে দেশের অন্য যেকোনো হাওরাঞ্চল থেকে এই হাওরে একর প্রতি ধানের আবাদ ও উৎপাদন অধিক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কালাজড়া নামের এই নালা দিয়ে অসময়ে বড়ভাঙ্গা নদী থেকে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশের ফলে বেশির ভাগ মৌসুমেই কৃষকরা তাদের জমিতে উৎপাদিত ধানের তৃতীয়াংশ ফসল তুলতে পারেন না।

সম্ভাবনাময় এই হাওরটির উপজেলা সদরের শিরিয়া খেয়াঘাটের কালাজড়ায় প্রায় ৪০ ফুট প্রস্থের একটি স্লুইস গেইট অথবা বাঁধের অভাবে বছরের পর বছর ধরে অরক্ষিত হয়ে পড়ে রয়েছে।

কয়েকজন কৃষক ও সাবেক ইউপি সদস্য আশিক মিয়া জানান, পানি বেশি হলে একদিকে যেমন হাওরের ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। অপরদিকে শুকনো মৌসুমে পানি পায় না কৃষকরা। অথচ হাওর অঞ্চলের উৎপাদিত ফসল থেকেই উপজেলার মোট আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয়। হাওর উন্নয়নে এমপি ও রাজনৈতিক নেতারা একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি।

বালাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহা. আহমদ আকী জানান, প্রতি বছরই চৈত্র মাসের শেষে বা বৈশাখ মাসের শুরুতে এলাকাবাসীরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে আসছে। বড়ভাঙ্গায় পানি বাড়লে ও বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া মাত্রই বাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসী ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনও সময় গেছে একদল কৃষক দিনে ও একদল কৃষক রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে বালাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহা. আব্দুল মুনিম জানান, দুঃখজনক হলেও সত্য হাওর অঞ্চলের জনগণ বছরের পর বছর ধরে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ফলে বোরো মৌসুমে এলাকার কৃষকদের জমিতে ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দুশ্চিন্তাও।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট স্থানীয়দের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এই এলাকায় বড়ভাঙ্গা নদী খননের কাজ চলছে। খননকৃত মাটি নদীর পাড়ে জমা করা হচ্ছে, ফলে বৃষ্টির পানি ও পানি বাড়ার সাথে সাথে মাঠি গড়িয়ে আবার নদীতে পরে ভরাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাটিগুলো যেখানে সেখানে না রেখে উল্লিখিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ