শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ডোমারে চাঞ্চল্যকর ঘটনা, মাদরাসা ভেঙে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নীলফামারীর ডোমারে একটি ইবতেদায়ী মাদরাসা ভেঙে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজাপাঙ্গা পন্ডিতপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসায়। এ ব্যাপারে ডোমার থানায় অভিযোগ করেছেন মাদরাটির সভাপতি দুলাল হোসেন।

অভিযোগে জানা যায়, ১৯৬৮ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম মৌলভী ছফির উদ্দিন। তিনিই প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পরে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ফজলুল হক। মাদরাসাটি মঞ্জুরী হয় ১৯৮৫ সালে।

গত ১১ জানুয়ারি সকালে মাদরাসা সংলগ্ন এলাকার নুরুল হকের ছেলে মাওলানা রুহুল আমিন, লেলিন ইসলাম, শাহীন ইসলাম, অহেদ মোল্লা, ফজিলা বেগমসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের একটি দল মাদরাসায় প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বাধা প্রদান এবং মাদরাসার সভাপতিসহ শিক্ষকদের গালিগালাজ করে। এ সময় মাদ্রামাদরাসার সভাপতি দুলাল হোসেনকে মারধর করে তারা।

পরে মাদরাসার সকল টিনের বেড়া, চেয়ার টেবিল, বেঞ্চ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোর করে নিয়ে যায়। বর্তমানে মাদরাসাটিতে শুধুমাত্র টিনের চাল রয়েছে। মাদরাসাটির সাটির সকল জিনিসপত্র রুহুল আমিন গং নিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জানান সভাপতি দুলাল হোসেন।

মাদরাসার সভাপতি দুলাল জানান, ২০১৭ সালের ২০ জুলাই মাদরাসাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ডোমার থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু রুহুল আমিন সেই কাগজপত্র পেয়ে নিজেকে প্রধান শিক্ষক আর তার বাবাকে সভাপতি ও স্ত্রীকে দাতা সদস্য দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগমকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি রুহুল আমিনের কাগজপত্র ফিরিয়ে দেন।

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ