আওয়ার ইসলাম: পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এবং পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের সাবেক ভিপি খ ম হাসান কবীর আরিফের বিরুদ্ধে একাধিক বার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে জীবনের নিরপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা পরিবহন ব্যবসায়ী খন্দকার আব্দুল মান্নান। জিডিতে তিনি ছেলের লাইসেন্স করা পিস্তল জব্দ করারও আবেদন করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খন্দকার আব্দুল মান্নান।
অভিযুক্ত খ ম হাসান কবীর আরিফ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
লিখিত অভিযোগে খন্দকার আব্দুল মান্নান জানান, ছেলে খন্দকার হাসান কবীর আরিফ সবসময় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তুচ্ছ কারণে গায়ে হাত তোলেন এবং হত্যার হুমকি দেন। ইতোপূর্বে আরিফ তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা এসে রক্ষা করেন।
আব্দুল মান্নান অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে আরিফ কথায় কথায় আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। ইতোপূর্বে সে আমার মালিকানাধীন একাধিক পরিবহনের কাঁচ ভাঙচুর করে বহু টাকার আর্থিক ক্ষতিও করেছে। এজন্য তিনি জীবনের নিরপত্তার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আরিফের ভয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। তার স্বাভাবিক চলাফেরাও বন্ধ হয়ে গেছে। নিরপত্তাহীনতা ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড চাপে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে আরিফের লাইসেন্স করা পিস্তল জব্দ করতেও পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অস্ত্র জব্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খ ম হাসান কবীর বলেন, আমার বাবার বয়স প্রায় নব্বই বছর। তার পক্ষে এমন জিডি করা কোন প্রকারেই সম্ভব নয়। হয়তো কেউ তাকে বিভ্রান্ত করে সাক্ষর করিয়ে নিতে পারে। সাধারণ ডায়েরিতে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, তিনি একজন সফল সংগঠক। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলকে সংগঠিত করেছেন। দলের ভেতরে ও বাইরে তার অনেক শত্রু রয়েছে। তারা একজন বয়স্ক মানুষকে দিয়ে এ ধরনের মিথ্যে কাজ করাতে পারে।
-ওএএফ