মাহমুদুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মবিন: ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পবিত্র হজ ও ওমরা সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য এবং পবিত্র মক্কা-মদিনাকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নিজের দরবারকে হেরেম ঘোষণা দেয়াসহ বিভিন্ন কুফরি বক্তব্য দেয়ায় কথিত পীর আবুল বাশার আল কাদরীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের উদ্যোগে ও আল-জামিয়াতুল এমদাদিয়ার সিনিয়র উস্তাদের নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল আল্লামা শাব্বির আহমাদ রশীদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা শামসুল ইসলাম, ভৈরব ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আল আমিন, জামিয়া নূরানীয়ার মহাপরিচালক মাওলানা আবুল বাশার, ভৈরব ইমাম ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আবুল আহাদ কাসেমী, জামিয়া এমদাদিয়া সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা তৈয়ব, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ জামী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জামী,গাজী আশরাফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কথিত পীর মাওলানা আবুল বাশার পবিত্র হজ্ব ও ইসলামি অনুশাসনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনগড়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে হবিগঞ্জের এক মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছে। পবিত্র হজকে কটুক্তি করেছে। যা ইসলাম ধর্মে জঘন্যতম অপরাধ।
তারা বলেন, এই চরম ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের মাধ্যমে এদেশের কোটি কোটি মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সরকার যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, সাধারণ তৌহিদী জনতা যদি ফুঁসে ওঠে, তাহলে যেমনি ভাবে তাসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে ব্যবস্থা নিয়েছিলো কিশোরগঞ্জ থেকেও সেই আওয়াজ শুরু হবে, তখন প্রশাসনের পক্ষে তা কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমরা আবুল বাশারকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ২৩ তারিখ আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলেও বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এছাড়াও বক্তারা বাংলাদেশে কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষণা দাবি জোড়ালোভাবে উপস্থাপন করেন।
ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন পরিচালানা করেন কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম। মানববন্ধনে কিশোরগঞ্জসহ তার পার্শ্ববর্তী ইমাম ওলামা স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা অংশ নেন।
-এএ