আওয়ার ইসলাম: চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন এক হাজার ৬১০ বাংলাদেশি কর্মী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফিরেছেন ১০৯ জন। তাদের অনেকেরই দাবি, কাজ থেকে ঘরে ফেরার পথে ধরে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আকামার মেয়াদ এখনও রয়েছে।
মাত্র দুই মাস আগে নোয়াখালীর আজিম হোসেন গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। পাসপোর্টে তিন মাসের ভিসা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি জানিয়েছেন, বাজার করতে যাওয়ার সময় তাকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের সঙ্গে নিয়োগকর্তার (কফিল) কথা বলার পরও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের রুহুল আমিন, কুমিল্লার ফিরোজ হোসেন ও মানিক, শরীয়তপুরের মিলন, যশোরের মোসলেম উদ্দিন, বগুড়ার মেহেদি হাসান, গাজীপুরের রাজিবসহ বেশিরভাগেরই একই অবস্থা।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০১৯ সালে ২৫ হাজার ৭৮৯ বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন বছর শুরুর ১৬ দিনে এক হাজার ৬১০ বাংলাদেশি ফিরলেন। ফেরত আসাদের বর্ণনা প্রায় একই রকম। প্রায় সবাই খালি হাতেই ফিরেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৬ হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে ৭ হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে ২ হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে ২ হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে ১ হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন শূন্য হাতে ফিরেছেন।
শরিফুল হাসান বলেছেন, যে রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের পাঠিয়েছিল, তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।
-ওএএফ