জহির উদ্দিন বাবর ।।
মুফতী মুহাম্মদ ইদরীস কাসেমী। দারুল উলূম দেওবন্দের মুঈনে মুফতী হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান সহিহ বুখারির বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘কাশফুল বারী শারহু সহীহিল বুখারী’ এর রচয়িতা তিনি।
প্রায় ১৭ বছরে রচিত উর্দু ভাষায় ৩২ খণ্ডের বিশাল এই ব্যাখ্যাগ্রন্থটির কারণে তিনি উপমহাদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। পরে সেই ব্যাখ্যাগ্রন্থটি নিজেই বাংলা ভাষায় রূপান্তর করেন।
একটি বিশাল গ্রন্থের মূল লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, বিক্রেতা সবই তিনি ছিলেন। বলা যায়, তাঁর গোটা জীবন দিয়েছেন এর পেছনে।
আমি যখন দারুর রাশাদে ছিলাম প্রায়ই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে, থাকতেন মিরপুরে। অত্যন্ত সহজ-সরল ছিলেন। মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকত।
তাঁকে দেখে বোঝা যেত না, এতো বিশাল ইলমি খেদমত তিনি আঞ্জাম দিয়েছেন। দেখা-সাক্ষাতে সবসময় বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ নিয়েই আলোচনা করতেন। প্রতিটি খণ্ড ছাপা এবং বাজারজাত করার পেছনে তাঁকে প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে।
এমন বিরল প্রতিভার আলেম বাংলাদেশে খুব কমই আছেন। আল্লাহ তাঁর খেদমতগুলো কবুল করে নিন। তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। আমিন।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম ।
(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া )
আরএম/