আওয়ার ইসলাম: “কাদিয়ানীরা কাফের, এতে কেউ সন্দেহ রাখতে পারবে না। কাদিয়ানীরা যে আকীদা-বিশ্বাস মেনে চলে তা বিশ্বাস করলে কেউ মুসলিম থাকতে পারে না। অথচ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে কাদিয়ানীরা মুসলিম পরিচয়ে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বহু সরলপ্রাণ মানুষ ঈমানহারা হচ্ছে। তাই কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে ব্যাপক জনসচেতনতা ও গণজনমত গড়ে তুলুন।”
গতকাল শুক্রবার উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দীনি ও সেবামূলক সংগঠন আল আমিন সংস্থার তিন দিনব্যাপি তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমীর দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা শিরক বেদআত থেকে দূরে থাকবেন। ঈদে মিলাদুন্নবীর মতো জঘন্য বিদআতে লিপ্ত হবেন না। কারণ বেদআত করলে তওবা নসীব হয় না। হিংসা করবেন না। সুদ-ঘুষ খাবেন না। চুরি ডাকাতি করবেন না। জিনা ব্যভিচার করবেন না। মসজিদ-মাদরাসা ও আলেম সমাজকে মুহাব্বত করবেন। তাদের পরামর্শে জীবন পরিচালনা করবেন।
তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানীরা হযরত মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী মানে না। কাদিয়ানী ইস্যুতে সরকার, প্রশাসন ও জনসাধারেণের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
হেফাজত আমীর বলেন, কিছুদিন ধরে টার্গটে করে করে আলেমদের গুম করা হচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাতে আটক দেখিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে গুম হওয়া আলেম ও নিরাপরাধ জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হোক এবং আটককৃত সকল আলেমকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদজুমা থেকে মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ও মাওলানা ইবরাহিম খলিল সিকদারের যৌথ সঞ্চালনায় শেষ দিনের ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা ইদরীস ও মাওলানা আনাস মাদানী।
আরো আলোচনা পেশ করেন, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী, মুফতি মেরাজুল হক মাজহারী, মুফতী হুমায়ুন কবীর, মাওলানা আব্দুস ছমী, মাওলানা ইসমাইল খান, মুফতী রাশেদ প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম।
আরএম/