আওয়ার ইসলাম: একজন হিন্দু বা ভিন্নধর্মী লোক কিভাবে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদরাসার সুপার হয় তা আমাদের বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিন্দু এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মাদরাসায় হিন্দু সুপার নিয়োগ ইসলামের সাথে উপহাসের শামিল।
তিনি বলেন, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদরাসার সুপারের দায়িত্বভার হিন্দু শিক্ষক উত্তম কুমারকে দিয়ে মাদরাসার শিক্ষাকে অবমাননা করা হয়েছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের হৃদয়ে চরম আঘাত। দেশবাসী এ ঘটনায় মর্মাহত ও ব্যথিত। এধরণের ঘটনা মুসলমানদের জন্য লজ্জাজনক।
চরমোনাইয়ের পীর বলেন, একটি মহল মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মাদরাসা শিক্ষাবিরোধীরাই এধরণের চক্রান্তে লিপ্ত। হিন্দু শিক্ষক শিক্ষকতা করুক, এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু কুরআন, হাদীস ও ধর্মীয় শিক্ষার বিশেষ প্রতিষ্ঠান মাদরাসার প্রধান বানিয়ে এ শিক্ষাকে অবমাননা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদরাসা হলো আলেম তৈরি কারখান। এখানে আলেম ছাড়া অন্য কাউকে বা ভিন্নধর্মের মানুষকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান করার কোন সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবশ্যই আলেম হতে হবে। এক মুহুর্তের জন্যও হিন্দু সুপার হিসেবে মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীকে এবিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
-এএ