সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, খতমে নবুওয়াতকে যারা অস্বীকার করে, তারা কাফের। এমনকি কেউ যদি তাদেরকে কাফের হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করে, তখন তারাও কাফের হয়ে যাবে। কারণ এটি কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়। এটি আকিদা সংশ্লিষ্ট বিষয়।
আজ (২৯ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান আওতাধীন কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠে খতমে নবুওত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অমুসলিম সম্প্রদায় কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষনার দাবি নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ প্রাঙ্গণ জনসমূদ্রে পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সকাল ৯ টা থেকে উপস্থিত হয়ে এখন বিশাল মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেফাক মহাসচিব আরো বলেন, প্রয়োজনে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। সারা বাংলাদেশে বেফাকের ১৩ হাজার মাদরাসা আছে। প্রয়োজনে প্রত্যেক বিভাগে বিভাগে ও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। তবুও কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করেই ছাড়বো।
এর আগে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, “কাদিয়ানীরা খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করে। সুতরাং, তারা কোনক্রমেই মুসলিম নয়, তারা অমুসলিম বা বিধর্মী। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।”
আরএম/