শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

পাক সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ আরো তিন বছর বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে।

জেনারেল বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশনটি প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর মঙ্গলবার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি আসিফ সাইদ খোসা বলেন, কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতিই পারেন সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়াতে।

প্রধান বিচারপতি আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে জনস্বার্থে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৩(৩)-এর আলোকে পিটিশনটিকে সুয়ো মোটো নোটিশে পরিণত করেন।

প্রধান বিচারপতি শুনানির সময় বলেন, সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরই সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি খোসা তখন বলেন, রাষ্ট্রপতি যদি ১৯ আগস্ট সারমর্ম অনুমোদন করে থাকেন, তবে কেন ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ওই সারমর্মে অনুমোদন করলেন?

এই ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী সারমর্মে সই করেন।

প্রধান বিচারপতি খোসা জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরই তাতে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছিলেন? প্রাথমিক অনুমোদন মনে হচ্ছে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে রাষ্ট্রপতি তাতে অনুমোদন দিয়ে থাকলে তা আইন অনুযায়ী হয়নি।

এ প্রেক্ষাপটে আদালতকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা আবার অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারি।

প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, মন্ত্রিসভার মাত্র ১১ জন সদস্য সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর সারমর্মে অনুমোদন দিয়েছিলেন। আমা বলতে পারি না যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তা অনুমোদন করেছিলেন।

তিনি জানতে চান, ২৫ মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র ১১ জন হ্যাঁ বলেছেন। গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয। যারা জবাব দেননি, তাদের জবাবের জন্য আমাদের অপেক্ষা করা উচিত। এসব সদস্য আসলে 'না'ও বলেননি। সরকার কি মনে করেছে, এসব সদস্য আসলে হ্যাঁ বলেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে তার ক্ষমতা নেই। তারপর দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কারোই ক্ষমতা নেই এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো মন্ত্রিসভায় ২১ আগস্ট।

প্রধান বিচারপতি আশ্চর্য হয়ে জানতে চান, কেন মেয়াদ বাড়ানোকে পুনঃনিয়োগ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হলো?

তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি রহস্যে ঘেরা। প্রথমে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেয়া প্রয়োজন ছিল। তারপর তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া দরকার ছিল।

আদালত তারপর সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানোর শুনানি পরবর্তী দিন পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।

গত ১৯ আগস্ট প্রধামন্ত্রী ইমরান সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করেন।

ইমরান খানের অফিস থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে আরো তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিবেশের আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সূত্র : জিও টিভি

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ