আওয়ার ইসলাম: বর্তমানে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৬ হাজার ইউএস ডলার হবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে সিএসআর সেন্টারের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন করেছি। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন করতে চাই। সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, জেন্ডার সমতা বজায় রেখে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মতৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। নারী ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, শুধু শহরকেন্দ্রিক উন্নয়নের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে সমগ্র দেশে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী একটি গ্রাম একটি শহর প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে তার বাস্তবায়নও শুরু করেছে। শহর বলতে গ্রামীণজনপদেও পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য নাগরিক সেবার আওতায় নিয়ে আসাকে বোঝানো হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে শুধু হাওর ও পাহাড়ি জনপদ বাদে প্রত্যেক উপজেলা সড়ককে মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসআর সেন্টার বোর্ড অফ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান। আলোচনা করেন- বাংলাদেশে অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসের হাইকমিশনার এইচ ই শারলোটা স্লাইটার, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারজানা চৌধুরী, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ, সিএসআর সেন্টারের সিইও শাহামিন এস জামান প্রমূখ।
আলোচকরা বলেন, দেশে-বিদেশে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সিএসআর প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে এ রিপোর্টের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে যুবসমাজ নিজেদের কোম্পানি ও ব্যবসার পরিকল্পনা ও কার্যক্রম চালায়। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, বিশেষ করে উদ্যোক্তা ও সমাজের কল্যাণে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
-এএ