আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ পশ্চিম বাংলার সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী একজন মন্ত্রী হয়েও ভারতের অরাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তের সাথে কেন জড়িত? এর কারণ জানালেন তিনি নিজেই।
মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মুর্শিদাবাদের এক সভায় বলেছেন, কেউ কেউ বলে, আপনি মন্ত্রী, আবার জমিয়ত করেন কেন? আমরা সামাজিক জীব। সমাজ বাদ দিয়ে কিছুই হয় না। কেউ সংস্কৃতির সঙ্গে থাকেন, কেউ সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমরা সমাজ নিয়ে আছি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা জমিয়েত উলামা হিন্দের উদ্যোগে ও ডোমকল মহকুমা জমিয়েত উলামায়ে হিন্দের ব্যবস্থাপনায় ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে এনআরসি বিরোধী শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এনআরসি নিয়ে মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এনআরসি নিয়ে ভয়ের কোন কারণ নেই, এ রাজ্যে এনআরসি হবে না কিন্তু সকল ডকুমেন্টস সংশোধন করে রাখা প্রয়োজন আছে।
বাবরী মসজিদ নিয়েও কথা বলেন তিনি। “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমরা খুব মর্মাহত, দেশের মুসলিমরা অবিচারের স্বীকার, আমরা মসজিদের জন্য সরকারের জমি চাই না, তবে এই রায় আবার পুনর্বিবেচনা করবেন বলে তিনি আশাবাদী।” মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমরা ব্যথিত, আহত, সুপ্রিম কোর্ট ভারতের মুসলমানের প্রতি সুবিচার করেনি। আমরা সুবিচার পাইনি। দলের প্লাটফর্মে হয়তো বলতে পারবো না। জমিয়তের ব্যানারে অবশ্যই বলবো। হাজার বার বলবো। একহাজার চল্লিশ পৃষ্ঠার রায়ে চার শো বছর যেখানে নামাজ হয়েছে সেখানে এখন রাম মন্দির হবে। এটা আফসোসের কথা।”
ইতিহাস বিকৃত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৪৯ সালে মূর্তি রাখা হয়েছিল। জমিয়তের তৎকালীন সভাপতি মাওলানা হিফজুর রহমান সিওহারবী বারবার তাগাদা দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্রুক্ষেপ করেননি। আজকের আদালত বলছে, দুঃখিত আপনাদের দিতে পারলাম না।
তিনি আরও বলেন, এটা রায় হয় না। সুপ্রিমকোর্টের প্রতি এতে মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে।
আরএম/