আওয়ার ইসলাম: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে শত শত নারী-পুরুষ অনুপ্রবেশকারী। এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) আতঙ্কে চলতি মাসের ১ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২১৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার জুলুলী, খোসালপুর, বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর ও শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে অসংখ্য মানুষ। চলতি মাসে ৫৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের হাতে আটক ২১৪ জনের বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের।
আসাম ও বেঙ্গালুরসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা এ মানুষগুলোকে ভারতের এনআরসিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। যে কারণে ভারত সরকারের একটি সরকারি বাহিনীর চাপে দেশ ছাড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয়দের দাবি, অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে শত শত নারী-পুরুষ প্রবেশ করছেন। এতে সহায়তা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ওই অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। যারা অচেনা মানুষ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবিকে খবর দিবেন।
বিজিবির ৫৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে.কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, মহেশপুর সীমান্ত এলাকা ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১০ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া নেই। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যারা বাংলাদেশে আসছে তাদের বিষয়ে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা আসছেন তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশী বলে তারা দাবি করছেন। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না তাদের সঠিক পরিচয়।
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের দায়ে তাদের আটক করা হচ্ছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। যাতে তারা এই কমিটির মাধ্যমে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারেন। যেখানে অপরিচিত মানুষ দেখবেন তারা বিজিবিকে খবর দিবেন।
আরএম/