আওয়ার ইসলাম: ঠাকুরগাঁওয়ে সকাল থেকে শুরু হয়েছে লবণ কেনার প্রতিযোগিতা। কেউ ২ কেজি, কেউবা ৩ কেজি আবার অনেকে পুরো মাসের লবণ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। লবণ কেনাকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে লবণ বিক্রির দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে হঠাৎ লবণের দাম বাড়বে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে পুরো জেলায়। মানুষগুলো ছুটে আসা শুরু করে লবণ কেনার জন্য। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজের মত লবণের দাম বৃদ্ধি করে। ২০ টাকার লবণ ঘণ্টার ব্যবধানে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ থেকে ১১০টাকা কেজিতে।
ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড বাজারের ফল ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম জানান, গুজবকে কাজে লাগিয়ে সকাল থেকেই লবণ ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি শুরু করে। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী লবণ মজুদের অজুহাত দেখিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রিও করেছেন।
স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ী করিমুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে লবণের চাহিদা ব্যাপক। গত ৬ মাসেও এমন লবণ বিক্রি হয়নি। আমি প্যাকেটের মূল্য অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে লবণের দাম নিচ্ছি। বাকিদের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে লবণ সঙ্কট হবে এমন একটা গুজব ছড়ানোর ফলে এই প্রভাব পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুজব ছড়িয়ে কিংবা অন্য কোন কারণ দেখিয়ে অকারণে লবন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে করা হবে। এবিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন মানুষ সকাল থেকে মুঠোফোনে অনেক অভিযোগ করছেন লবণের বিষয়ে। এটি একটি নিছক গুজব। গুজবে কান না দিয়ে ন্যায্যমূল্যে লবণ কেনার পাশাপাশি কোনো ব্যবসায়ী লবণের অতিরিক্ত মূল্য দাবি করলে তার কাছ থেকে রশিদ নিয়ে লবণ কেনার জন্য বলেন।
সেই রশিদ থানায় দেখালে ওই লবণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিকে লবণের এই লঙ্কাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম ও ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের মাধ্যমে সতর্ক করে জানিয়েছেন, লবণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এটি নিছকই গুজব।
লবণসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। কেউ গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেশি দামে লবণ বিক্রেতাকে এবং গুজব সৃষ্টিকারিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করুন।
আরএম/