আওয়ার ইসলাম: অল-ইন্ডিয়া মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন কে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন দলটির প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সর্বভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের শক্তিশালী হয়ে ওঠার ফলে ভয় ও হতাশা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কারও নাম উল্লেখ না করে সোমবার (১৮ নভেম্বর) কোচবিহারে এক কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রাজনীতির মধ্যে হিন্দু উগ্রপন্থা আছে, কিছু সংখ্যালঘুদের মধ্যেও উগ্রপন্থা বেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপির কাছে এরা টাকা নেয়। হায়দারাবাদ তাদের বাড়ি।’
সম্প্রতি বিধানসভা উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কিশানগঞ্জ কেন্দ্রে জয়লাভ করে সর্বভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন।
এরপরই হঠাৎ কোচবিহার জেলাজুড়ে দলটির রাজনৈতিক পোস্টারে ছেয়ে যায়। তাতে লেখা- ‘অপেক্ষা শেষ, এবার মিশন পশ্চিমবঙ্গ’।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মমতার এমন মন্তব্যের কঠিন জবাব দিয়েছেন এমআইএম প্রধান ওয়াইসি। তিনি বলেন, ‘আমার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বাংলার মুসলমানদের আপনি এই বার্তা দিলেন যে, ওয়াইসির দল আপনার রাজ্যে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এই ধরনের মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় ও হতাশাই ফুটে উঠেছে।’
মমতাকে নিশানা করে উগ্রপন্থার অভিযোগ তুলে পাল্টা অভিযোগ তুলতেও ছাড়েননি আসাদউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বাংলার সংখ্যালঘুদের যে উন্নয়ন হয়নি, এটা বলার জন্য ধর্মীয় উগ্রপন্থার দরকার হয় না। হায়দারাবাদের একটি গোষ্ঠী নিয়ে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়া) যদি এতই উদ্বিগ্ন, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কীভাবে ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন পেল।’
হায়দরাবাদভিত্তিক দক্ষিণের এই রাজনৈতিক দলের হঠাৎ এমন সক্রিয়তায় চমকে ওঠেন শাসক তৃণমূলের নেতারাও। তার পরই কোচবিহার সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবধান বাণীর তাৎপর্য খুঁজছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরএম/
