আওয়ার ইসলাম: রাজশাহীতে সোমবার থেকে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকায় নামিয়ে আনতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের অভিযানে রোববার এক বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ।
এসব পেঁয়াজের মালিক হাসিবুল ইসলাম। তিনি রাজশাহীর পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত তার পেঁয়াজ জব্দ না করে তাকে প্রতিদিন ৫০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামের নেতৃত্বে রোববার বিকেলে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল যে এখানে এক ধরনের সিন্ডিকেট পেঁয়াজ আমদানি করে তা মজুদ করছে। আমরা বাজারে সেই সব জায়গা ঘুরে দেখেছি। রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো অবস্থায় আছে। আমরা কোনো ক্রমেই মজুদ করতে দেব না।
তিনি আরো বলেন, বাজারে সব খুচরা ও পাইকারি বাজারে ক্রয়পত্র দেখে সোমবার থেকে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাকে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ অভিযান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার বিকেল ৪টার দিকে সাহেব বাজারে অভিযানে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় তারা দোকানদারদের বলেন, ‘আপনারা মানুষের ওপর জুলুম করবেন না। বেশি দাম চাইলে কেউ পেঁয়াজ কিনবেন না। আমাদের খবর দেবেন’।
বাজারে অভিযান দেখে আড়তদাররা তাদের গোডাউনে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযানের সময় এক নারী ক্রেতার কাছে পেঁয়াজের দাম জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট। উত্তরে ওই নারী বলেন, সকালেও তিনি ২২০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন।
ওই নারী বলেন, ‘বিকেলে অভিযানে এসে তো আসল তথ্য পাবেন না। আপনারা সকালে অভিযান চালান’।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত সাহেব বাজারের দুই ঘর ভর্তি পেঁয়াজ দেখতে পান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে সেই পেঁয়াজের মালিক আলাল উদ্দিনকে ফোন করা হলেও তিনি সেখানে আসেননি।
আমিন ট্রেডার্সে গিয়ে মালিক সাইফুল ইসলামের কাছে তাদের পেঁয়াজ কেনার রসিদ দেখেন এবং আজ থেকে নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন।
আরএম/