আওয়ার ইসলাম: সিগনাল অমান্য করার কারণেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর তুর্ণা নিশীথা ও আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ নিহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই ট্রেনের শতাধিক যাত্রী।
মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগনাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কোনো দোষ নেই।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খানও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তুর্ণা নিশীথার চালকের সিগনাল অমান্য করার কথা জানিয়েছেন। পুরো ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
রেলওয়ে স্টেশন, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইন দিয়ে মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশ করছিল রাত দুইটা ৪৩ মিনিটে। ওই সময় ঢাকাগামী চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ স্টেশনের মূল লাইনে দাঁড়ানোর কথা। তুর্ণা ট্রেনটি স্টেশনে না দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে।
উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢোকার মুখে তুর্ণা এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয়। উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের দিক থেকে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর বগি তুর্ণা ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খুব দ্রুতই রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
-এএ