আওয়ার ইসলাম: সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে সোমবার রাতে মা ও দাদীর সঙ্গে উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চাঁদপুরে বাড়িতে ফিরছিল শিশুটি।
পথে ঘুমের মধ্যেই তার সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দাদীকে হারিয়ে ফেলে সে।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান উদ্ধারকারীরা। মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে শিশুটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন নার্স।
কিন্তু শিশুটি শুধুই কাঁদতে থাকে। তারা কান্না দেখে হাসপাতালের ছুটে আসেন অনেকে। আসেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। শিশুটির স্বজনদের খোঁজার আহ্বান জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন।
শিশুটির ছবি তুলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে শিশুটির স্বজনদের পাওয়া যায়। হাসপাতালে ছুটে আসেন তার ফুফু আয়েশা বেগম ও দাদা মোহাম্মদ আলী। তাদের কাছে জানা যায়, তিন বছর বয়সের মাহিমার বাড়ি চাঁদপুর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, ‘মাথায় আঘাত নিয়ে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়া তার ঠাণ্ডাজনিত কিছু সমস্যাও আছে। সবার প্রচেষ্টায় তার স্বজনদের পেয়ে উৎকণ্ঠা কেটে গেছে।’
-এটি