আওয়ার ইসলাম: নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকায় রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্কুলের একটি প্রতিনিধি দল এ প্রতিবেদন জমা দেন।
শিক্ষা সচিব বরাবর জমা দেয়া প্রতিবেদনে স্কুলটি তাদের ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে ৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে তারা। তাতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে স্কুল প্রাঙ্গণে কাউকে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক করা হবে। এছাড়া প্রায় ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আবরার। সে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী ছিল। ২ নভেম্বর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ধন্যপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
৬ নভেম্বর ঢাকায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হকের আদালতে আবরারের বাবা মজিবুর রহমান মামলা করেন।
এদিকে, লাশ দাফনের ৭ দিন পর গত শনিবার কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। ময়না তদন্ত শেষে পরদিন আবার দাফন করা হয়।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশীয়া রিসিলের নেতৃত্বে আবরারের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনাইমুড়ি থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
-এএ