আওয়ার ইসলাম: খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব শেখ গোলাম আসগর বলেছেন, ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের রায় দিয়ে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট মুসলমানদের হৃদয়ে ঘুর্নিঝড়- বুলবুল-এর চেয়েও কঠিন আঘাত হেনেছে।
আজ রোববার জোহরের পর পল্টন মোড়ে বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের রায়ের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনে বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ভারতের সুপ্রীম কোর্টের এ রায় আমরা ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো। কোন ক্রমেই মসজিদের জায়গায় মন্দির নিমাণ করতে দেয়া হবে না। বাবরী মসজিদ যথাস্থানে পুন:নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রয়োজনে ১৯৯৩ সালে মত বাংলাদেশ থেকে অযোধ্যা অভিমুখে লংমার্চের ডাক দেয়া হবে। অযোধ্যা অভিমুখে লংমার্চ করে মুসলমানরা ভারতকে জানিয়ে দিবে আমরা ঈমান নিয়ে বেঁচে আছি।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, পাঁচশত বছরের পুরাতন বাবরী মসজিদ যারা ভেঙ্গেছে তাদের বিচার করতে হবে। যে জায়গায় একবার মসজিদ নির্মাণ হয় কেয়ামত পর্যন্ত সে জায়গায় মসজিদ থাকবে।
বিকল্প জায়গায় মসজিদ চায় না। ভারত সরকারের দেয়া ৫ বিঘা খয়রাতী জায়গা মুসলমানরা চায় না।
ভারতের প্রধান বিচারপতি তথা সুপ্রীমকোট যে রায় দিয়েছে সেটা ভারতের সংবিধান পরিপন্থী। ভারতের সুপ্রীম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতি সে কথাই বলেছেন। সুতরাং অবিলম্বে এ রায় প্রত্যাহার করতে হবে।
বাবরি মসজিদ যথাস্থানে নির্মাণ করতে হবে। না হলে মুসলমানরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক মুহা. আবদুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুহা. আবুল হোসেন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, এহচ এম হুমায়ুন কবির আজাদ।
হাজী হারুনূর রশীদ, কাজী আরিফুর রহমান, এ্যাডভোকেট সৈয়দ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, আলহাজ্ব আবদুর রহমান, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, শ্রমিক মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুহা. আবুল কালাম, ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি কে এম ইমরান হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি আজীজ উল্লাহ আহমদী প্রমুখ।
এর আগে এক বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
-এটি