আওয়ার ইসলাম: ভারতের বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির নিয়ে করা মামলার রায় এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বাবরি মসজিদের বিরোধপূর্ণ জমি রামজন্মভূমি ট্রাস্টকে হস্তান্তরে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেক্ষেত্রে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে আলাদা বিকল্প কোনো জমি বরাদ্দের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। খবর ‘এনডিটিভি’।
কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার পত্রিকার’ প্রতিবেদনে বাবরি মসজিদ নিয়ে করা মামলার চূড়ান্ত রায়ের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয় :-
• বিকল্প জমি পাবে মুসলিমরা
• ভিতরের এবং বাইরের জমি তুলে দেওয়া হবে ওই ট্রাস্টের হাতে
• কেন্দ্রকে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়
• শর্তসাপেক্ষে মূল বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা
• সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অধিকার দাবি করতে পারে না
• আইনি ভিত্তিতেই জমির মালিকানা স্থির করা উচিত
• বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়
• তবে কাঠামো থেকেই কোনও দাবি করা যায় না
• হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল
• কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে: রঞ্জন গগৈ
• তবে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) এ কথা বলেনি, বাবরি মসজিদের নিচে মন্দিরই ছিল
• এএসআইর খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, সেগুলি নন ইসলামিক
• এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় যুক্তিযুক্ত ছিল
• মসজিদের নিচে কাঠামো ছিল, ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি বাবরি মসজিদ, বললেন প্রধান বিচারপতি
• নির্মোহী আখড়ার দাবিও খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
• কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, রায়ে বললেন প্রধান বিচারপতি
• বাবরের সহযোগী মির বাকি মসজিদ তৈরি করেছিলেন, বললেন প্রধান বিচারপতি
• সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের অনুরোধ
প্রধান বিচারপতি তার রায় ঘোষণায় বলেছেন, 'এই রায় সম্পূর্ণ ঐক্যমত্যের একটি রায়। তবে মসজিদের নিচে ঠিক কোন স্থাপনা ছিল এখনো তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।'
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, কোনো ফাঁকা জায়গায় মসজিদ তৈরি হয়নি। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে এখানে শেষবার নামাজ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিকল্প জমি পাবে মুসলিমরা। এমনকি শর্তসাপেক্ষে হিন্দুদেরও মূল বিতর্কিত অংশ থেকে জমি দেওয়া হবে।
আরএম/