শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

মধুমতির ভাঙনে মাদরাসা মসজিদ, সর্বহারা তিন গ্রামের মানুষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এবারের বর্ষায় মধুমতি নদীর ভাঙনে ৬৯টি পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে অন্তত দেড়শটি পরিবার। একের পর এক নদীতে যাচ্ছে ফসলি জমি, গাছপালা, মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাকা সড়ক, মসজিদসহ নানা সামাজিক স্থাপনা। বিলীন হচ্ছে জনপদ।

এই অবস্থা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের আমডাঙ্গা, আস্তাইল ও চরআড়িয়ারা গ্রামের। ঐতিহ্যবাহী জনপদ ছিল ওই তিনটি গ্রাম। গত তিন দশকে ওই তিন গ্রামের ৯৫ ভাগ পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এর অধিকাংশ পরিবার ৩-৭ বার ভাঙনের কবলে পড়েছে।

অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসতি গড়েছেন। অস্বচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেননি, তারা একবার এ পাড়ে, আরেকবার অন্য পাড়ে বসতি গড়ছেন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন মধুমতীর সঙ্গে। কিন্তু এ ভাঙন প্রতিরোধে নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আমডাঙ্গা গ্রাম নদীতে ভেঙে তিনটি জনপদের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর এ পাড়ে পিছিয়ে বসতি গড়েছেন অনেকে। বেশিরভাগ পরিবার নদীর অপর পাড়ে বসত-বাড়ি করেছেন। সে অংশের নাম এখন পারআমডাঙ্গা।

আরেক অংশ চারপাশ দিয়ে নদীবেষ্টিত আস্তাইল-আমডাঙ্গায় বসতি গড়েছেন। বর্তমানে পারআমডাঙ্গা ও আস্তাইল-আমডাঙ্গা অংশে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আস্তাইল গ্রামের অধিকাংশ পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অপর পাড়ে বসতি গড়েছেন।

এ অংশের নাম হয়েছে পারআস্তাইল। পারআস্তাইলে এখন ভাঙন অব্যাহত আছে। চরআড়িয়ারা গ্রামের অধিকাংশ পরিবার পিছিয়ে আমডাঙ্গা এলাকায় বসতবাড়ি করেছেন। আবার অনেকেই অপর পাড়ে গিয়ে বসবাস করছেন।

মধুমতির অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে অন্তত দেড়শটি পরিবারের বসতবাড়ি। আস্তাইল গুচ্ছগ্রাম এবং আস্তাইল, আস্তাইল-আমডাঙ্গা ও পারআমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও হুমকির মধ্যে রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চরআড়িয়ারা ও আমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চরআড়িয়ারা মাদরাসা তিনবার, আমডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুইবার, আস্তাইল ও আস্তাইল-আমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একবার নদীতে ভেঙেছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ