আশরাফ আলী সোহান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি>
জুমআর নামাযের পর ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদ চত্ত্বরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে তাওহীদী জনতার উপরে চালানো নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং সকল শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী কে.এম আনিছুজ্জামান যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার ভোলার বোরহানউদ্দিনে রাসূল প্রেমিক তৌহিদী জনতার উপর নির্মম হামলায় কয়েক শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান আহত ও কয়েকজন নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি দলের প্রেম দেখেছেন, নবী প্রেম দেখেননি।
ভোলার বোরহানউদ্দীনে সম্প্রতি প্রিয় নবী সা. কে নিয়ে যে অবমাননা করা হয়েছে, তা কোনভাবেই নবী প্রেমিক মুসলিম জনতা মেনে নিতে পারে না।
মহানবী সা. আমাদের জানের চেয়েও প্রিয়। প্রিয় নবীর অপমান কোন মুসলমান সইতে পারে না। যে বা যারা এহেন জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত সরকারের উচিত হবে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
যদি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ না করা করা হয় তবে পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্ব এদেশে তৌহিদী জনতা সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন কেউ করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
শহীদি মসজিদ চত্ত্বর হতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে গৌরাঙ্গ বাজার, থানা রোড, আখড়া বাজার হযে শহীদি মসজিদ চত্ত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি মাও. এমদাদুল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মো: রুকন
উদ্দিন সহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোরন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন জেলা, থানা ও বিভিন্নস্থরের নেতাকর্মীগণ।
-এটি