আওয়ার ইসলাম: ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কেউ নন। আমি চাই আব্বু ও আম্মু মিলে মিশে থাকুক। কখনো ঝগড়া না করুক, ভাই বোনদের যেন না মারে। তাদের যেন আদর স্নেহ করুক। আমাকে মাফ করে দিও, ইতি অপু’। এসবই ছিল বিদায়বেলায় চিরকুটে লেখা অপুর শেষ আকুতি।
গতকার বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা মোগড়া ইউনিয়ন ছয় ঘড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত অপু মিয়া মোগড়া ইউনিয়নে ছয়ঘড়িয়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
চিরকুট লিখে অপু মিয়া (১৫) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আত্মহত্যা মহাপাপ জেনেও যারা আত্মহত্যা করে মূুলত তাদের শাস্তি আরো কঠিন হয়।
পুলিশ জানায়, দুপুরে অপুর বসতঘরে দীর্ঘক্ষণ দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আখাউড়া থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে অপুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
বুধবার সকালে নিহত অপুর মায়ের সঙ্গে প্রবাসে থাকা তার পিতা আনোয়ার মিয়ার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে অপুর মা তাকে মারধর করে। পরে সকালে তার মা তাকে ঘরে একা ফেলে বাবার বাড়ি চলে যায়। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
অপুর মা নিলুফা বেগম জানান, আমি আমার ছেলের জন্য নিজে দুপুরের খাবার রান্না করে ঘরে রেখে, আমার বাপের বাড়ি যাই। কিন্ত পরে শুনি, আমার ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কেন করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এমন কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না যে এই কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে। আমার কাছে ছেলের মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান খবর পেয়ে আখাউড়া থানা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছি।
-এটি