আওয়ার ইসলাম: সুদ দিতে অস্বীকার করায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় মসজিদের ইমামকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার ঠুটিয়াপুকুর এলাকায় হাজারো নারী-পুরুষ, ছাত্র-শিক্ষক সড়কে অবস্থান নিয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ওসি মাসুদার রহমান, পলাশবাড়ীর মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল ও সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বি আব্দুল্যা রিয়ন ঘটনাস্থলে যান। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় গ্রামবাসী।
এর আগে একই এলাকায় সড়কের পাশে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। এ সময় ইমাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের ওসি মাসুদ রানা বলেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার দুপুরে (১৮ অক্টোবর) পলাশবাড়ীর দূর্গাপুর গাবেরদীঘি এলাকার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ঝুলন্ত মরদেহ আম গাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবুল কালাম আজাদ সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ঘটনার দিন রাতেই হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূত্র ধরে পলাশবাড়ীর দাদন ব্যবসায়ী শাহারুলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। কিছুদিন পর ওই টাকা পরিশোধ করেন তিনি।
গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) ধারের টাকার সুদ চাইতে আবুল কালামের বাড়িতে আসেন শাহারুল ও তার সহযোগী শরিফুল এবং মিলন। তারা ধারের টাকার সুদ দেয়ার জন্য ইমাম আবুল কালামকে চাপ দেন। ইমাম ধারের টাকায় সুদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমামকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান তারা।
গত শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন ইমাম আবুল কালাম। শনিবার সকালে আম গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করে আম গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আরএম/